Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
চৌগাছা শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বিস্তারিত

চৌগাছা শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে একটি মাইল ফলক। উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ভেতর শিক্ষার মান, রেজাল্ট, পরিবেশ, ভৌতিক অবকাঠামো, শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের নিয়মানুবর্তিতা উপজেলার ভেতর একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী বিদ্যালয়।
১৯৩০ সালে চৌগাছার বেশ কিছু গুনিজন শিক্সানুরাগী ব্যক্তিবর্গের শ্রম, ঘাম ঢালা অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে চৌগাছা শাহাদত পাইলট বিদ্যালয়। তবে এর আগে বিদ্যালয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রূপে আর্বিভূত হয়েছিল। ১৯৩৯ সালে তৎকালীন স্বরূপদাহ গ্রামের অধিবাসী ও চৌগাছা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মরহুম শাহাদৎ হোসেনের নামানুষারে নামকরণ করা হয় “চৌগাছা শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়”।


যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি নিজস্ব জমিতে নিজস্ব ধারায় চলতে থাকে। তারা হলেনঃ- শাহাদৎ হোসেন বিশ্বাস (স্বরূপদাহ), নিছার আলী বিশ্বাস (গরীবপুর), তোফাজ্জেল হোসেন (জগদীশপুর), শাহাজান আলী (পাতিবিলা), বোরার আলী (হয়াৎপুর), জায়েদ আলী (চৌগাছা), দুঃখী বিশ্বাস (চৌগাছা), আব্দুল গণি বিশ্বাস (চৌগাছা), ইব্রাহীম আহম্মেদ (চৌগাছা) মানিক মিয়া (চৌগাছা), হাজের আলী বিশ্বাস (চৌগাছা), হাজের আলী গোলদার (চৌগাছা), মাওলা দাস বিশ্বাস (ইছাপুর), মুনছুর আলী দেওয়ান (ইছাপুর), আব্দুল খালেক (দিঘলসিংহা), চিনু মৃধা (কংশারীপুর), রজব আলী মৃধা (কংশারীপুর), আকবর আলী মৃধা (কংশারীপুর) প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ।


১৯৩০ সালে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন দীন আলী (১৯৩০-৩১), ১৯৩৮ সালে খন্দকার নুরুল হক সাহেব প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত এম ই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে আসনগ্রহণ করেন।


১৯৬১ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল এবং কোন গ্র“প ছিল না।


১৯৬২ সালে এস এস সি পরীক্ষা চালু হয় এবং বিজ্ঞান, মানবিক, বানিজ্য ও কৃষি এই চারটি গ্র“প চালু হয়। কিন্তু চালু ছিল মানবিক শাখা।


১৯৬৫ সালে এ কে শফিউদ্দীন আহমদ এর উদ্যোগে ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের চেষ্টায় ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞান শাখা খোলা হয়। এলাকার শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয়টি পাইলট স্কীমের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং চৌগাছা শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়।
ক্রমান্বয়ে বিদ্যালয়ের পড়াশুনার মান, রেজাল্ট, শিক্ষক- কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচষ্টো বিদ্যালয়টিকে একটি সেরা বিদ্যাপিঠে পরিণত করে। বাংলাদেশের ভেতর একটি বিশেষ স্থানে স্থান করে নেয়। রেজাল্টে, সাজে সজ্জ্বায়, শিক্ষকদের বিদ্যাবিতরণে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ও এস এস সি পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রীরা বিশেষ কৃতকার্য অর্জন করে।


১৯৮৮ সালে বিদ্যালয়টি যশোর জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়। ১৯৯৫-২০০৩ পর্যন্ত উপজেলা ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের পুরষ্কার লাভ করে।