চৌগাছার ক্রীড়া জগৎ
চৌগাছা জনপদের মানুষ আজীবন সংগ্রামী স্বাধীনতার অগ্র সৈনিক। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্রীড়াঙ্গনে এসেছে নতুনত্ব। নতুনত্ব যতই থাক না নিজস্ব সাংস্কৃতিটায় সবচেয়ে বড়কথা হারানো প্রায় প্রাচীনতম খেলাধূলা দিয়েই চৌগাছার ক্রীড়াঙ্গনের কথা শুরু করি।
হা-ডু-ডুঃ-হা- ডু-ডু বর্তমান আধুনিকতার উদ্ভাসিত খেলাধুলার মধ্য থেকে অনেক দূরে হাডুডু। চৌগাছা জনপদের অন্যতম খেলা। হাডুডু খেলার উদ্ভব উৎপত্তি পাক ভারতেই। তবে এদেশের মধ্যে চৌগাছাই হাডুডু খেলার উৎসব সবচেয়ে রমরমা। জাতীয় পর্যায়ে হাডুডু খেলায় চৌগাছা শীর্ষস্থানে স্থলাভিষিক্ত হয়। (সত্তর দশকে)। শুধু দেশ গুরু নয় ভারতের সঙ্গেও হাডুডু খেলা খেলে চৌগাছার এক ঝাঁক তরুণ এনেছে বিজয়ের ‘‘স্বর্ণশীল’’। হাডুডু খেলায় চৌগাছা তথা সারা দেশের বিজয় বীর খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতমঃ-
মোশারেফ হোসেন (মশোক), জাতমলা
বকুল মেম্বার (চাঁদপুর)
আলা উদ্দীন খাঁ (বিঃ পাড়া)
ইয়াকুব বার (দাদপুর)
মানিক (বেড়গোবিন্দপুর)
মোবারক কমিশনার (চৌগাছা)
আখি (গরীবপুর)
এছাড়া চৌগাছার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে আছে হাডুডু খেলার অজস্র খেলোয়াড়রা। নিজস্ব জনপড়ের নিজস্ব সাংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য আজো গ্রামে গ্রামে হাডুডু খেলা দেখা যায়।
লাঠি খেলাঃ-রূপ রস আর বিচিত্র মুর্হুমুহু ধ্বনিতে যে খেলা আবার বৃদ্ধা বনিতা কার না হৃদয় ছোই? ঢাকের বাড়ী পড়লে কার না কর্ণ কূপে স্পন্দন জাগে? কাসার কঙ্কনে কার না প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয়। অত্যাধিক আনন্দদায়ক আর কৌশল কলের কল কল্ললে প্রবাহিত হয় লাঠি খেলার বিভিন্ন ঘটনা বহুল গ্রাম বাংলার বিচিত্র চিত্র। এ খেলায় পারদর্শী ছিল চৌগাছা জনপদের তরুণ মধ্যবয়সী ও পৌঢ় বৃদ্ধরা। এ খেলা যদিও খুব কম লক্ষ করা যায় তবুও ভোলা যাইনা অনেকের স্বনামধন্য খেলার কলা। যাদের লাঠি খেলার গৌরবে চৌগাছা গৌরবান্বিত। তাদের নাম নিম্নে-
আঃ লতিফ বিশ্বাস (বিশ্বাস পাড়া)
আবুল হোসেন (বিশ্বাস পাড়া)
শাহাবুদ্দিন মল্লিক (বাদেখানপুর)
বারিক গাজী (কয়ারপাড়া)
হবিবর মিয়া (যাত্রাপুর)
লুৎফর রহমান (কয়ারপাড়া)
মুরাদ (সাদীপুর)
গোলাম হোসেন (জগদীশপুর)
শাহাদৎ হোসেন (জগদীশপুর)
ইয়াকুব আলী (জগদীশপুর)
ফুটবলঃ-চৌগাছা জনপদে ফুটবল একটি অতি পরিচিত ও আকর্ষণীয় খেলা। এ ক্রীড়াঙ্গনে ক্রীড়ানৈপুন্যে যারা যশোর তথা সারা দেশে মাত করিয়েছেন তাদের মধ্যে-
আঃ মালেক (বর্ণী),
এ, কে, এম শফিউদ্দীন আহম্মেদ (সাবেক প্রধান শিক্ষক, শাহাদৎ পাইলট),
কাজী আঃ হামিদ (সুখপুকুরিয়া),
গোলাপ (বর্ণী),
খালেকুজ্জামান (সনুডাক্তার),
আনোয়ার (জামতলা),
সোলাইমান (হাকিমপুর),
মনোয়ার হোসেন চুনি (হাকিমপুর),
ফুলমিয়া (নারায়নপুর),
আমির হোসেন (নারায়নপুর),
খালেকুজ্জামান ভোলা (চৌগাছা)
ওষ্টে (সাওতালপাড়া)
বিরেন (সাওতালপাড়া)
খালেদুর রহমান (চৌগাছা)
আকু (কংশারীপুর),
আঃ সালাম (চেয়ারম্যান, চৌগাছা ইউপি)
আতিয়ার রহমান (চিত্রশিল্পী)
তরিকুল ইসলাম (হাকিমপুর)
আক্তার (চৌগাছা)
খাজা ফজিল আইচ উজ্জল (ক্রীড়ানুরাগী সংগঠক)
আবেদুর রহমান (চৌগাছা)
সেলিম রেজা আওলিয়ার (মেয়র, চৌগাছা পৌরসভা)
ক্রিকেটঃ-আধুনিক বিশ্ব চাহিদাতে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। সেই কারণে সেই স্রোত ধারায় চৌগাছার আধুনিক তরুণ তরুনদের মধ্যে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।
১৯৭৫ সালে চৌগাছা শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে এম শফিউদ্দীন আহম্মেদ তার স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে একটি টূর্ণামেন্ট খেলার মাধ্যমে এ খেলার সূচনা হয়। সেই সময়কার ছাত্রদের মধ্যেঃ-
হাসানুজ্জামান রাহীন (ডিভাইন কোল্ড ষ্টোরেজ লিঃ)
শাহীন (যুগ্ম সচিব)
আতিয়ার রহমান (চিত্রশিল্পী)
আবেদুর রহমান (চৌগাছা)
শামিম রেজা (কচি)
মিঠু (চৌগাছা)
বর্তমান সময়কার ক্রিকেট খেলোয়ারদের মধ্যেঃ- ইমরান, বিশ্ব, বরুণ, উজ্জল, ইমরান, ওয়াসিম, সিগবাতুল্লাহ, সোহেল, রোকন, সেজবা, জাহিদুল, জয়নুর, আরিফ অন্যতম।
হ্যান্ডবলঃ-হ্যান্ডবল খেলায় পারদর্শীদের মধ্যে পান্না, মামুন, পনি, কাজী জালাল, খালেদুর রহমান, শরিফুল, কাজল, মান্নান, মিজানুর, আলা উদ্দীন, মোসত্মফা, খাইরুল, আরিফ, বিশ্ব অন্যতম।
এছাড়া ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, কেরাম, দাবা তাস উল্লেখযোগ্য।
সন্ধ্যা হতেই চাঁদনি রাতে ছন্দমুখর, সংগীত মুখর, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবাঁধা, ইত্যাদি খেলা চৌগাছা জনপদের আকর্ষণীয় খেলা। হরেক রকমের জলফেলি আর লাটাই, ঘুড়ি, লাটিম, মারবেলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা চৌগাছার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বহন করে চলে।
ক্রীড়া সংগঠকঃ- চৌগাছার ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে সর্বপ্রথম যাপর নাম উঠে আসে তিনি হলেন মরহুম আলফাজ্জামান (সনুডাক্তার)। তিনি নিজের টাকা খরচ করে অনেক টিম তৈরী করে খেলা করাতেন।
এছাড়া-
নারায়ন চন্দ্র (শিক্ষক) গরীবপুর
আবুল হোসেন (শিক্ষক) নারায়নপুর
মোঃ মশিয়ূর রহমান (শিক্ষক), চৌগাছা
খাজা ফজিল আইচ উজ্জল (সাংবাদিক)
উচ্চ লাফঃ-উচ্চলাফে পারদর্শীদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী ডাব্লু (হাকিমপুর),
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস