মৎস্য উৎপাদন ও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়। এর মোট আয়তন ২১৭ হেক্টর। বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের চৌপাশে বেড় দেওয়া তাই এ বাওড়কে বেড়গোবিন্দপুর নামে নামকরণ করা হয়।
ধূলিয়ানী ও সিংহঝুলী ইউনিয়নের অন্তর্গত এ বাওড়টি একদিকে যেমন মৎস্য উৎপাদন করে আমিষের চাহিদা পূরণ করছে তেমনই সৌন্দযের স্বপ্ননীল সম্ভাষনে নিজেই সেজে থাকে এক অপরূপ জলপরী।
২০০৭-২০০৮ সালে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৮ মেট্রিকটন। যার ৯৬% সম্ভব হয়েছিল।
২০১০ সালে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৪ মেট্রিকটন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যাই।
এখানে লোকবল কম বলে বাওড় ম্যানেজার বলেন, অন্যান্য কর্মচারী কর্মকর্তা যা আছে তাতেই বলবে কিন্তু গার্ড দরকার ৩০ জন। যেস স্থানে আছে মাত্র ৮ জন।
সেই সাথে চুরি, লুটপাট, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী বন্ধে প্রয়োজন একটি জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প।
জনবল বৃদ্ধি ও স্থায়ী নিরাপত্তা বলয় থাকতে উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ম্যানেজার মনে করেন।
বাওড় সংলগ্ন ডায়নার বিল ও অতিথি পাখির স্বপ্ন নিকেতনঃ- বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের সঙ্গে মৎস্য উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বাওড় সংলগ্ন ডায়নার বির। মোট জমি ৪০ হেক্টর। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের স্বপ্ন নিকেতন এ ডায়নার বিল বিচিত্র অতিথি পাখিদের আগমন আর বিচিত্র সব জলজ উদ্ভীদ লালশাপলা নীল শাপলা সাদা শাপলা মনে করিয়ে দেয় দেশের যে কোন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে স্থান থেকে কম নয়।
শীত কালে অতিথি পাখিদের কলকাকলীতে ভরে ওঠে ডায়নার আয়নার মত ঝকঝকে বিল। অতিথি পাখিদের মধ্যে চখা, জল পায়রা, জলপিপি, দমকুল, মানিকজোড়, হাসপাখি, ভীলভীলে, পানকৌড়ি, বক, ধলেশ্বর, কাদা খোঁচা, মাছরাঙা উল্লেখযোগ্য।
অতিথি পাখির এ অভয়ারন্যে হতে পারে দেশের একটি বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS